সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৪১

শিরোনাম :
প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল
বরিশাল লঞ্চঘাটে পন্টুন সঙ্কটে ঈদে ভোগান্তির আশঙ্কা সাধারণ যাত্রীদের!

বরিশাল লঞ্চঘাটে পন্টুন সঙ্কটে ঈদে ভোগান্তির আশঙ্কা সাধারণ যাত্রীদের!

dynamic-sidebar

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশালবহুল যাত্রীবাহী নৌযান। প্রতি বছর ঈদের আগে এ রুটে যুক্ত হচ্ছে কোন না কোন দানবাকৃতির লঞ্চ। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের পূর্বেও এ রুটে যুক্ত হয়েছে এমভি মানামী লঞ্চ। বর্তমানে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে সরাসরি চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যা ২৪টি।

তবে প্রতি বছর বড় আকৃতির লঞ্চ যুক্ত হলেও বরিশাল নদী বন্দরে বাড়েনি পন্টুনের সংখ্যা। ৬টি পন্টুনেই ভরসা খুঁজে নিতে হচ্ছে লঞ্চগুলোকে। যার মধ্যে আবার তিনটি পন্টুন অভ্যন্তরীণ রুটের একতলা লঞ্চের জন্য নির্ধারিত। এর ফলে ঈদ মৌসুমে ৩টি পন্টুনে জায়গা না পেয়ে অধিকাংশ লঞ্চ মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে যাত্রী ওঠা-নামা করাতে হচ্ছে।

এতে ছোট বড় দুর্ঘটনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লঞ্চগুলোও। তাই আসন্ন ঈদেও বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চে যাত্রী ওঠা-নামা করানো নিয়ে চিন্তিত বন্দর ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চের মাস্টাররা বলেন, বরিশাল নদী বন্দরে দূরপাল্লার রুটের লঞ্চের যাত্রী ওঠা-নামার জন্য তিনটি পন্টু নির্ধারণ রয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ হলে এক সঙ্গে ৮টি লঞ্চ নোঙ্গর করা যায়। যে কারণে স্বাভাবিক দিনে কোন ঝামেলা হয় না। কারণ ওই সময় রোটেশনের কারণে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬টি করে লঞ্চ চলাচল করে। তবে ঈদ মৌসুমে ঝামেলায় পড়তে হয়।

তারা বলেন, বর্তমানে ২৪ লঞ্চ বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে সরাসরি চলাচল করছে। যার মধ্যে একটি শুধুমাত্র দ্বিপরাজ লঞ্চের মালিকানা পরিবর্তনের কারণে এই ঈদে চলবে না। তবে ঈদে বরিশাল ভায়া হয়ে প্রতিদিন চলাচল করবে আরো অন্তত ৮টি লঞ্চ। যে কারণে নৌবন্দরে লঞ্চ ঘাট দেয়া নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।

লঞ্চের মাস্টাররা বলেন, ঈদ মৌসুমে বিশেষ ট্রিপ দেয়ার কারণে ২০/২২টি লঞ্চ এক যোগে চলাচল করে। যে লঞ্চটি আগে ঘাটে পৌঁছায় সেটির যাত্রী না নামা পর্যন্ত অপর লঞ্চটিকে মাঝ নদীতে অপেক্ষমাণ থাকতে হয়। কোন কোন সময় এক লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করাতে হচ্ছে। এর ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই বরিশাল নদী বন্দরে পন্টুনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা অতি জরুরি বলে মনে করেন লঞ্চের মাস্টাররা।

বরিশাল বিআইডব্লিউটি’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. কবির হোসেন দৈনিক খবর বরিশাল২৪ কে বলেন, বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যে লঞ্চগুলো চলাচল করছে তার প্রতিটির প্রস্থ সর্বোচ্চ ৪৪ থেকে সর্বনিম্ন ৩৮ ফুট পর্যন্ত। বন্দরে যে ৬টি পন্টুন রয়েছে তার এক একটি ১০০ ফুট করে। সে হিসেবে ৬০০ ফুটের মধ্যে ৩০০ ফুট পন্টুন বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চের জন্য বরাদ্দ। ৩০০ ফুটের ৩টি পন্টুনে সর্বোচ্চ ১০টি লঞ্চ আমরা নোঙ্গর করাই।

তবে ঈদ মৌসুমে পন্টুনে জায়গা দিতে পারছি না। তাই লঞ্চ কর্তৃপক্ষ একটি লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ থামিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করায়। তাছাড়া দিবা সার্ভিসের গ্রীনলাইন ওয়াটার ওয়েজ নদী বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করতে পারছে না। এ দুটিকে নোঙ্গর করাতে হচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি’র জেটিতে।

যাত্রীবাহী নৌযান মালিকদের সংগঠন জাপ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ সাইদুর রহমান রিন্টু দৈনিক খবর বরিশাল২৪ কে বলেন, বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি পন্টুনের সংখ্যা। আমরা লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে বহুদিন ধরেই পন্টুন বৃদ্ধির জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দাবি জানিয়ে আসছি আরো দুটি পন্টুন বৃদ্ধির জন্য।

তিনি বলেন, সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল ঢাকায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে আমিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বরিশাল নদী বন্দরে দুটি পন্টুন বৃদ্ধির জন্য দাবি জানানো হয়। ওই মিটিংএ আসন্ন ঈদে দুটি পন্টুন বাড়িয়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ (নৌ-নিটা) এর উপ-পরিচালক ও বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু দৈনিক খবর বরিশাল২৪ কে বলেন, বরিশাল নদী বন্দরে পন্টুন সংকটের কথা সর্বমহলই জানে। আমরা চিঠি দিয়ে তাদের জানিয়েছি।

তাছাড়া সংকট নিরসনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনে বিশ্বব্যাংক একটি প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের অধিনে বরিশাল নদী বন্দরে নতুন দুটি পন্টুন, গ্যাংওয়ে নির্মাণসহ আনুসাঙ্গিক উন্নয়ন করা হবে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট টিম পরিদর্শন করে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন। তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এখনো অনেক সময়ের প্রয়োজন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net